Breaking News
Home / CONTRIBUTORS / সুরঞ্জনা, তুমি

সুরঞ্জনা, তুমি

~: দিলিপ বাইনের-এর কবিতা :~


…………….
ভিড়ে বড্ড একা হোয়ে যাই
তখন নিজের কাছেই ফিরি
এক পা দু পা করে গুটি গুটি
পিঠের মধ্যে সেধে যাই
নাকি পিঠটান দিই
তোমাকে বুক পকেটে রাখি
স্মৃতিবিস্মৃতি গুলো মেমারি স্টাটাসে
অন নেট জেনে নিই কেমন আছ
কোথায় ঘুরলে
ফুচকা খেলে নাকি
তুমি কী খুব ঝাল পছন্দ কর
নাকি রেস্ট্যুরেন্টে অ্যাকমুখ ক্যান্ডেল নাইট সেলিব্রেট কর
আচ্ছা এটা তোমার কততম শরৎ
কততম বিকেল
কততম স্মরণীয় মুহূর্ত
কততম উড়ান
কতোটা আকাশ তোমার সঞ্চিত হল
তোমার কোড নেমটা পাল্টে দেব এবেলা
ছোট্ট কোন বিন্দু
সুদূর সৌম্যতার মতো তার অবস্থান
কথা বলতে ইচ্ছে হলেই সোজা তোমার অভিমুখে
তোমার আলোয়
তাপ
শ্বাসবিন্দুর মতো সখ্যতায়
সূক্ষতায়
কথায় কথায়
পথের পাশে পথপ্রদ তুমিময়তা
তোমার তুমিতে খুব করে আহ্লাদযাপন
তুমি গান শোনাবে তাই মিউজিকহীন
কথা বলবে তাই চুপ
শুনতে ডাকবে তাই অপেক্ষা করছি
কিন্তু ক্যানো
এর উত্তর খুঁজছি কটা দিন
নিজের কাছে ফিরতে ফিরতে বুঝতে চেষ্টা কোরছি
কেন এই ফেরা
কিসের ফেরা
কোথায় গিয়েছি তবে
কেন এই যাওয়া আসা
কিভাবে যাওয়াটা স্বপ্ন যাপনে ডুবে গেল
তাকে কিভাবে রিলোড করবো তবে
দিন থেকে দিনান্ত
প্রাণ থেকে প্রানান্ত
সবেতেই সৌম্য
সৌম্যতা
তার খোঁজে তবে তোমার কাছে ক্যানো
বাকীরা তবে কোন সৌম্যের খোঁজে হাঁটছে
আমার সঙ্গে তাদের সৌম্যতার দ্যাখা করলে ক্যামন হয়
তাদের কনফেস হোলে ক্যামন হয়
তাদের ফটো সেশন হলেই বা কী হোতো
তোমার সৌম্য কেমন দেখতে
তাকে তুমি কিভাবে ডাকো
তাকে কিভাবে জাগিয়ে রাখো স্বপ্নব্রতে
আজ অ্যাকটা ট্যাক্সি করে ছুটিয়ে মারছিলাম শহরটাকে
এ প্রান্তের শহরটাকে ও প্রান্ত অবধি
তোমার শহরের বুক বরাবর
চোখ বরাবর
সকালের ঘুম থেকে ডাকা অবধি টানা ডেকে যাচ্ছিলাম
সুপ্রভাত
শোনো
দ্যাখো আমার শহর তোমার শহরের কাছাকাছি
অন্তত পাশের নদী অবধি
বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত
থমকানো রেল ইয়ার্ড কাটাছেড়া করছে সীমারেখা
বলছে তুমি ও পারের
এ পারে ক্যানো
এ তোমার চোখের সীমারেখাতে ছায়া মাড়াতে যায় না
তবে ক্যানো গাড়ি ছোটাচ্ছো
তবে ক্যানো পথ নাবাচ্ছো ব্রিজে
সেতু তৈরি করা তোমার কম্ম নয়
বরং গান করো
গান লেখ
গান ছোটাও শহর থেকে মফস্বলে
নাকি নিজের দিকে ফিরে যাও
ভিড়ে হারিয়ে দ্যাখো ক্যামন মনে হয় নিজস্বতা
আমি ভেতরের একাদশ ইন্দ্রিয়কে পথে ছেড়ে দিই
অ্যাকেবারে দশকর্মা
দশ দিক জয় করবে
তুমি সমেত
তোমার ভেতরের দ্বাদশ অশরীরি সেই ইন্দ্রানীকেও
তাকে জয় করবে ভেবে তো এই টাক্সি ছোটানো
সেই জন্যই মোবাইল অপশান
মেসেজ
ঘুম থেকে ডাকা অবধি পালকের উড়ান
পলকের উড়ান
অপলক উড়ান
এই বুঝি ডাকা গ্যালো তাকে
সুপ্রভাত অবধি ছোঁয়া গ্যালো তার অবকাশ
স্বপ্ন
সময়ের স্পর্শলগ্ন
বেশ, এই অবধি তো হল
তারপর সেই নিজের কাছে ফিরছি
ফিরতে ফিরতে ফিরি করছি নিজেকে
দ্যাখো আমি ফিরছি আত্মপক্ষে
এভাবেও ফিরে আসা যায় নিজস্বতায়
যতোটা শহর আমার চারপাশে
যতোটা গ্রাম্যতা আমাকে ঘিরে থাকে
দুইয়ে মিলে আমার ট্যাকশাল
অর্থ অনর্থ বিনিময়
কখন কী যে বলি তার কোনো মানে নেই
শুধুই কৃষ্ণগহ্বর খিদে
ভালোবাসো
দ্যাখো আমি নিজের কাছে ফিরছি
নিজস্বতার খোঁজে
নিজস্ব সময়ের খোঁজে
শহর থেকে শহরে
সেতু বরাবর
সময়ের সন্ধিক্ষণে
তোমার ডাকে বেরিয়ে পড়া পথসভায়
শব্দভেদী স্বোচ্চার কথপোকথনে
আমি কী ভাবছি
তুমি কী ভাবছো
আমরা কী ভাবছি
অথবা কিভাবে ফিরছি নিজের কাছে
দেরিতে হলেও প্রশ্ন কোরছি নিজের কাছে
কিভাবে ফিরছি নিজের কাছে
নাকি তোমার কাছে…

সুরঞ্জনা, তুমি ২
…………..
আর যখন অ্যাকা থাকি
অ্যাকাকীত্ব শিথিল করে মুঠি, হাত, বাঁধন
নিজের থেকে বেরিয়ে পড়ি পথে
পথ পথান্তরে
পথকথায়
পথবিহারে
পথালাপ হয়
পথস্পৃহা জাগে
পথস্মৃতি পথকল্প গলি, তস্য পথশালা
পান্থনীড় তোমার
পন্থা কই
আমার পন্থা আমাকে ছাড়িয়ে অফিস গলিতে
গলাগলি করে
গালমন্দ তাও
এইসবই আমাকে ছাড়িয়ে
সুরঞ্জনা তোমার দেশে যায়
তোমার কাছে যায়
যাই ঠিক তোমারই কাছে
তোমার সকালে ঘুম ভাঙে
তোমার বিভাসে রোদ জাগে
তোমার আভাস খ্যালে রোদ নিয়ে
কাল রাতেও তোমার শহর ছুঁয়েছি
নদীতে ছুটিয়েছি ইচ্ছে সাতার
ছবিঘর
তার বিভা
বিভাস
বিভাব বৈভব তার
সে বলল আছে তো ছবি
মনে হয় সে তো কবেকার
মনে হয় তার গান, ছবি
সব আমার
ভীষণ আমার
এই ভেবে আপলোড করছি স্মৃতি
স্মরণযোগ্য বিস্মৃতি
নিজের কাছে ফিরছি বিস্মৃতি সমেত
মনে থাকা সময়
মনে না থাকা সময়
জুড়ছে স্মরণ
ছিড়ছে সরণি
তারা সময়ের ব্যাপ্তি ভাঙছে
ভাঙছে ধারণা
ধারণবোধ
ধারণাতীত প্রতিবিম্বগুলো
আমার হৃদয়গ্রাহ্য অসাড়তাগুলো
তোমার হৃদয়গ্রাহ্যতার ডাকবাক্স অবধি
সুরঞ্জন প্রত্যাশাগুলো
আমাদের মিলিয়ে গেছে কোন সেই সুরঞ্জন
তার মাঠ, ক্ষেত
তার দিগন্ত
দুজনের ওই দিগন্ত পরিচয়
নিজেকে নিজের কাছে ফিরে পাওয়া
তোমাকে তোমার মধ্যে দেখে যাওয়া
সুরুঞ্জন দ্যাখো
তুমি ছাড়া আমাদের আর অপশান নেই
তুমি ছাড়া প্রসঙ্গ নেই
প্রেম ছড়াতে গেলে সেই তোমাকেই সামনে পেতে হয়
তুমি বললে তবে বলা যায়
ভালোবাসা আদতে একটা ভূত
অশরীরি
আত্ম পরিসর জ্ঞাপক কথকতা
অকথকতা
তোমার সুরঞ্জন কী বলে
কিভাবে বলে
ডাকে
অথবা সে সুরঞ্জনা
চোখে মুখে ছড়ায় সময়ের অতন্দ্র বিলাস
তার আর পর কই
তাকে ডাকলে আসে কই
ভালবেসে ডাকে কই
শহরের বহুতলে ভাসে কই
কবিতার স্বর, প্রস্বর
কবি তো শব্দসমষ্টি
তার কথা কেন
সে তো বাঁচে কবিতার চোখে
কবিতা যতোটা জাগে কবি ততটাই বাঁচে
বাঁচতে দাও অক্সিজেন জরুরি আকাশে
জরুরি আরোগ্যের মতো
আলোর মতো
ঠোঁটের মতো
প্রদাহের মতো
আহ্লাদের মতো
এইসব ভেবে ফিরি নিজেরই কাছে
ক্যামব্যাক বলে কেউ কেউ
কী বললে এই অবধি?
কী কী বলা হল
নিজের কাছে কী আছে জানার
তোমার কাছে কী আছে জিজ্ঞাসা
তুমি জিজ্ঞাসার বিপরীত স্রোত
বিপরীত মুখ
সম্মুখবর্তী অবকাশ
প্রেম
প্রতিকল্প রোদ
আমার অবোধ অলক অবরোধ
জেদ থেকে অনতিক্রম্য সৌম্যতা অবধি
সেই তুমিতন্ত্র…

সুরঞ্জনা, তুমি ৩
……………..
তুমি এবং তুমি
বনাম হতে পারে
তুমি থেকে তুমিবাদ
সামনের তুমি
পেছনের নেই পর্যন্ত তুমিই
তুমিই তো
তোমার মতো শহরের সব অবকাশ
অবসর
সুরঞ্জনা, তোমার হৃদয়ে যত মেঘ
তারা অপলক আমাকে ভেজায়
কী ভাবছ
স্মৃতি না সম্মুখ
নাকি পেছনের টানটান ডাক
তোমায় ডাকছি
ডাকছি
ডেকেই চলেছি
তুমি তবু তুমিহীন মনে হয়
আমিহীন আমি
ছায়া
প্রতিকল্প
যা ভাবো
আমরা নিজস্বতার খোঁজে বেরিয়েছি
নিজের অতলান্তিক খাদে নেবেছি ডুবসাতারে
নিজেতে ডুবে কী পাব
কী পাচ্ছি
তোমাতে ডুবছে যে কল্পবোধ
তুমি কী ফিরছো
কোথায়
কখন
কিভাবে
তোমাতে
নাকি আমার শহরে
এ প্রশ্নের উত্তর কেমন হয়
কেমন শুনতে লাগে
পরখ করে দেখি
স্বাদ নিতে চাই
এ স্বাদের প্রতিবিম্ব থেকে যদি ওড়ে শহরের অবসাদ
হেমন্ত
হেমন্তের কবির প্রতীক্ষা
প্রতীক্ষাই সব
সব পথ হামুখ হাঘর
হাপথ
হামন
হাস্বর
কার্বন থেকে অক্সিজেন অবধি তরল উত্তোরণ
সঞ্চালন
সংবরণ
সহমরণের টলটলে জল
ওষ্ঠ থেকে প্রদোষ সেই জলদল
জলমন
মনজল
মানস ভ্রমণ
মনময় সহচর বন
সবকিছু তোমার প্রতীক্ষায়
নাকি আমার
আমাদের
রুদ্ধশ্বাস, রুদ্ধদ্বার প্রবোধ অবধি
আমি প্রবোধের পাশে থাকি
দরজা সাটা
জানলায় থাকে অনন্তের অবসাদ
তার পদক্ষেপ
স্বরক্ষেপ
গান
অন্যমনস্কতা
তোমার প্রবোধ থাকে পাশের জানলায়
প্রতিবেশিবোধে
প্রতি আবেশ অবধি দীর্ঘশ্বাসে
দীর্ঘশ্বাসটি প্রানান্তকর প্রতিবেশি আমার
দীর্ঘশ্বাসের ওপারে তুমি
তুমি দীর্ঘশ্বাসের মতো দীর্ঘতম দূরত্ব যাপন
দূরত্ববিলাস
দীর্ঘতাবিলাস
দীর্ঘতার অভিসারে শব্দকর দিই সময়প্রবাহে
সময়ের তরঙ্গময়তায়
লাইসেন্স নবীকরণ করে সময়সরণি
তোমার টাইমলাইনে যায় সময়ের আত্মঅভিমুখী শব্দগুলো
নৈশব্দগুলো
আমিগুলো
আমার একলাটি গোবেচারা টাইমলাইন
তার জন্য আহা উহু জানলাটা নিজেকে আকাশ ভাবছে
তোমাকে ভাবছে সুরঞ্জনা
নিজের দিকে ফিরছে সৌম্যের গান
নিজেকে ভাবছে প্রবল সন্ধিক্ষণ…

সুরঞ্জনা, তুমি ৪
………………….
আমরা কী তবে সন্ধিস্বর
নাকি বিচ্ছেদের ব্যঞ্জনা ভালবাসি
অথবা সন্ধি থেকে বিচ্ছেদ অবধি রঙ্গরস
চেটেপুটে খেতে ভালোবাসি
ভালবাসা কত ভাবে আমাদের ভালবাসা টেনে বের করে
ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য যতো রামধনু মানসীর চোখে
ঠোঁটে
বুকে
মাথার ওপরে
মাথার ভেতরে
মাথার অন্তর্গত বিশ্ব আকারে
তারও বেশি
পরিমাপহীন ব্যঞ্জনা অবধি
সুরঞ্জন সুর পর্যন্ত
সুর, তাল, লয় যতোটা যেতে পারে মানসীর
যতোটা মানসীর মানস প্রকার
আমি থেকে আমরা অবধি মানসী
সবই রঙ্গরস
সবই রঙ্গমঞ্চ
রঙ্গমঞ্চ গোটা গোলাকার পৃথিবী তোমার
আমি সেই বৃত্তাকার পথে ফেরি করি আত্মস্বর
বকলম নিজেকে বেচি
ইচ্ছে অনিচ্ছে বেচি
ভালবাসা বেচি
হিংসে বেচি
অন্তর্ঘাত বেচি
অন্তঃস্বরে প্রমোট করি অন্তরঙ্গতার ফুটস্টেপগুলো
তার ইতিহাস
তোমার জন্য নিজস্ব নৃতত্ত্ব
গালভরা তত্ত্বকথা
পুরাতত্ত্ব
অতীত বিভ্রম
এরপর ফিরে আসি নিজের কাছে
অতঃপর অ্যাকা হই
অ্যাকা হোতে থাকি
অ্যাকাকীত্বের চূড়ান্ত অ্যাকক অবধি
বিন্দুবিসর্গের পরম অবধি
যেখানে আলো পৌছুতে পারে না শেষমেশ
শুধু যেতে পারে অনুমান
অথবা মানসীর গান
বিভ্রমের সুলুকসন্ধানও যায়
য্যানো এই তো দেখছি
এ আর অ্যামন কী ব্যাপার
ছঁয়ে দিলে কী অমন হবে
কিসে বাড়া ভাতে ছাই যাবে
কী অমন মৃত্যু দিয়ে অমৃত বানাবে
অনেক মৃত্যুসূত্র দিয়ে অমৃতের রস আর রসায়ন হবে
অমৃত তবু মাঝে মাঝে জিহ্বায় ঠেকে
অথবা দূর থেকে ডাকে অমৃতস্বভাবে
তোমার অমৃত পাইনি এখনও
আমার অমৃত অ্যাখনও অধরা
যতোটা আছে সেওতো সেই চুপসে থাকা বিনয় আকাশে
আমরা অমৃতের বাজারে এসে দরদাম করছি
কতটা অমৃত হোলে বাকীটা কেটে যাবে এব্যালার মতো ভেবে বাজারে যাচ্ছি
কত গো অমৃত ভাণ্ডটি তোমার জানা যেতে
শীতকালে যে অমৃত শীতগাছে চুপকরে জড়ো হয়
ঝরে
পড়ে পৃথিবীর প্রশান্ত মাটিতে
শেকড়ের সব স্পর্শযোগ্য সম্পর্কের ভিতে
গান থেকে পাঠযোগ্য সব অন্ধকারে
তোমাকে সংগ্রহ কোরছি দ্যাখো
তোমার সংকলন থেকে কপি কোরছি
সময়
মুহূর্ত
পানযোগ্য অন্তরঙ্গতার ডেরা
সেই সৌম্য সংবিধান…

সুরঞ্জনা, তুমি ৫
………………………
আমরা তবে সৌম্য সাংবিধানিক
আলোর অভিসারী
অন্ধকারে চেয়ে থাকে অবসাদ
অপলক দীর্ঘশ্বাসগুলো
অবলোক
অবসর
অবরোধ
পাখালব্ধ পাখি
পালক
পলক
আমি তো রয়েই গেছি পিছে
পেছনের অমন সৌম্যতায়
মানসতন্ত্রে
মানসমন্ত্রে
তোমার কোলাজের ফ্লাশব্যাকে
তুমি কী ফিরছো
কিখন
কিভাবে
কোন সৌম্যতার কাছে
তোমার সৌম্যতার থেকে আমার সৌম্যতার পথ
কতটা অবিরল অভিমুখী আমার
সুরঞ্জনা, তুমি কার
কথা শোনা কোন অবসর
তোমার ঘরের দিকে পথসভা করে
কথার বাহানা রাখে
হুলস্থূল প্রেম রাখে
আজ টেবিল ঘড়িটা ভেঙে সময়ের অঙ্ক কষে দেখি
আমি টেবিল চেয়ার সাজিয়েছি তোমার বিকেল
শরতের উনত্রিশ বিকেলে
আজ ত্রিশতম
হেমন্তে ঝরছে তোমার বিকেলের পাতাগুলো
বলেছ
জানি
শুনেছি সেদিন
আজ পথে পাতাঝরা দেখতে গিয়ে দেখি
অবিকল তুমিপাতা
আমার চারপাশে নেমে এসে ছুঁয়ে দিচ্ছে পথসভা
চারকোল
বলছে হাসাহাসি পতনের ছবি তোলো
তুলেছি তা
তারপর ঘরে ফিরছি
নিজের কাছে
হয়তো তোমার অভিমুখে
নাকি নিজেদের বিপরীত পাঠকক্ষে
আলোকিত চোখমুখে
শব্দ গঠনের বাগযন্ত্রে মন্ত্র গেঁথে
ছড়িয়ে দিচ্ছি পথসভায়
দ্যাখো, যাবো যদি তোমারই অভিমুখে
সৌম্যতায়
সুরঞ্জনা, তোমার জন্য সুরম্য শব্দঘর আঁকছি
তোমার জন্য একটা শব্দশহর বানাচ্ছি
অনুপরমানু সব রসায়নে ভিজে যাচ্ছে
দ্যাখো পৃথিবীটা তৈরি হোলো বলে…

Check Also

ePoems(Edi:SRoy)::2G.11

ePoems(Edi:SRoy) Achinta Nandi @ Dheu Balika Tomar mobile keno bondho thake ? Tumi ki nijekeo …

ePoems(Edi:SRoy)2G.10

ePoems(Edi:SRoy)::Soumen Sekhar::Alga hole fiter fnas, kotha hobe damal haoya, r kisorir elo chule, dhongser majh …