কালোঘোড়ার গতিবেগ ~ হার মানাচ্ছে ০-আকার
(বিজ্ঞানী।চিন্তাবিদ। স্টিফেন হকিং ~ শ্রদ্ধার্ঘ)
————————————
জন্ম ১৯৪২ সাল।বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর মৃত্যুর ঠিক ৩০০ বছর পর ~ অক্সফোর্ডে জন্ম নেন্ এই বিস্ময় প্রতিভা।হ্যাঁ, বিস্ময় প্রতিভা তো বটেই।মাত্র ২১ বছর বয়সে মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হয়ে যখন মৃত্যু আসন্ন (অন্ততঃ তাঁর চিকিৎসকের মতে), কিভাবে চ্যালেঞ্জ নিয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন তার চিন্তাশক্তি ~ সেই তো বিস্ময় প্রতিভার উত্তরসূরি।কসমোলজি / কোয়ান্টাম / বিজ্ঞানী আইনস্টাইন পরবর্তী আপেক্ষিকতাবাদ ~ শুধুমাত্র বিজ্ঞান চেতনার জারনে জারিত নয়, এ এক মহাচিন্তন ~ যেখানে শূন্যেরও স্বরূপ অনুভূত।এখানেই তার ধর্মবিশ্বাস ~ তথাকথিত ঈশ্বরবিরোধীতা (তিনি যে ঈশ্বর-কে অনুভব করেছিলেন, তাকে কখনোই সুবিধাবাদ আর্থ-সামাজিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মেনে নিতে পারে নি)।আজ যখন বিশ্বজুড়ে জমি দখলের মৌলবাদ মজুত ~ এই অবস্থায় বিজ্ঞানী হকিং-এর বিভিন্ন বার্তা প্রগতিবাদী অবস্থানকে শক্তি জোগান দেয়।”দুনিয়া বিজ্ঞানের নিয়ম মেনেই চলে। এমন হতে পারে নিয়মগুলো ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন কিন্তু তিনি নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটানোর জন্য কখনো হস্তক্ষেপ করেন না” ~ এই তার মুল বিশ্বাস।
গতো ১৪ই মার্চ, ২০১৮ : নিজস্ব গতিপথের কৃষ্ণগহ্বরে মিশে গেলেন রয়্যাল সোসাইটির সর্বকনিষ্ঠ ফেলো, এই প্রগতিকামী বিস্ময়,চিন্তাবিদ,কবি ও পদার্থবিদ মনিষী।রেখে গেলেন দীর্ঘ শিক্ষকতার জীবনের বহু ছাত্র, গণিত এবং পদার্থবিদ্যায় কিছু অমর কাজ, সময়ের স্বরূপ এবং তিন পুত্র ও স্ত্রী।
আসুন আমরা সকল বিজ্ঞানচেতনায় লালনকামী প্রগতিবাদী মানুষ ~ আমাদের শ্রদ্ধা ও স্মরণে, তাঁর কাজগুলো ও বিশ্বাসকে এগিয়ে নিয়ে যাই।ছড়িয়ে দিই তাঁর চেতনার আলো মহাবিশ্বের প্রতিটি অন্ধকারে।
তারপর ক্রমশঃ শিকড় ~ ভাসছে বহুমুখীন সময়
দেওয়াল জড়িয়ে ওঠা মহাকাশ।মহা-০-র ছাই
তড়িৎ বৃষ্টি নামে।তেজস্ক্রিয় শরীর
শিকড়ের ঘোর গভীরতা ~ চিরে ফেলা ব্যাস ]]
আলোচনায় : রাহুল গঙ্গোপাধ্যায়