সকালের গল্প তোলা থাক চেনা আলমারিতে। আমরা বরং রঙহীন সন্ধ্যার গল্প দিয়েই শুরু করি- এ যাত্রায় কথক একজন আত্মঅভিমানি প্রেমিক সত্ত্বা। ধরে নিই তার প্রেম আত্মহুলি দিয়েছিলো সময়ের ঘূর্ণয়মান কান্তিক দুঃসময়ে। গভীরে তার অবিশ্বাসী মন পুর্ণবার জেগে উঠেছিলো সবকিছু খোলাসা করে দেখার বাসনায়। সেই অস্থির, মরুযাত্রীকে একফোঁটা কাঙ্খার কণা মিশিয়ে জাগিয়ে তুলেছিলো এক আদিম রমণী। রমণীর শিৎকার আর মোহমগ্নতায় সে এতোটাই ডুবে ছিলো যে তখনো তার মনে হয়নি বৈধ-অবৈধতার সহমরণ হয় সময়ের নিলজ্জ কোরাসে। হয়তো কোজাগরি চাঁদ মুচকি হাসতে পারে। ভোরের কুয়াশারা রটিয়ে দিতে পারে গোপন অভিসার। তাতে তো অপঘাতে প্রণয় চিহ্ন মুছে যেতে পারে না। অদ্ভূত এক ইন্দ্রজাল সেই প্রেমময়তাকে স্রোতময় করে, রাতের আঁধারে প্রণয় অভিসারকে সতেজ করে রাখে। ২৯তম সংলাপের কথা বলতে বলতে মাদকতায় ভরে যেত তাদের উঠোন।
আহ! সেই সব স্বপ্নীল ভোর কতই না মাদকতায় পরিপূর্ণ ছিলো- বলতে বলতে কথক কোথায় যেন হারিয়ে যায়…