১)
প্রজাপতি বাঘ চশমায় নতুন দাগ
ইলিশের চোখে নিম্নচাপ
জন্ম জন্মান্তরে হিমের আল্পনা
কাগজের নৌকায় বিদধ যীশু ।
২)
ছায়াবৃক্ষের সঙ্গম কম্পনের সাক্ষী পাতার টেস্টটিউব
নিঃসাড় আলোয় প্রজাতির গণিত সময়ে
গুটিয়ে যায় শিকার মন্ত্র ।
প্রতিটি প্রদক্ষেপে এখন মিশ্রন প্রতিক্রিয়া ।
৩)
আচ্ছন্নতা প্রতিটি শুভ্র বিশ্বাসে
ইচ্ছে হলেই গল্পটা ছড়িয়ে দেই
ক্লান্ত জোনাকির ঠোঁটে ।
স্বপ্নের আটচালায় নেই ঝাঁপি ।
৪)
বিকৃত আগুন ঢেলে নেই পকেটে
গলার নালি দিয়ে যন্ত্রণার ভ্রুন
নেমে আসে ছেড়া প্রভাতে
অস্থাবর অনুভূতিগুলো পাচার করে দিয়ে ।
৫)
দু পাশ দিয়ে শ্যাওলাময় স্নেহ
ব্যথিত প্রতিটি আদেশের শর্ত
রৌদ্রে মৃদু ঘৃনা ঢেলে
মিছিল একরাশ সততার ।
৬)
দীপাবলী রাত নয় , ভাবনার বালিশে
জটিলতা সভ্যতার নরম ধাতু
চমৎকার কামনার ভবিষ্যৎ
প্রতিটি সেকেন্ডে জমাট ক্লোরোফিল ।
৭)
ন্যুজ মহাকালের শীতাতুর মেঘ
ক্রমানত তালুতে জমছে ভূত ও ভবিষ্যৎ
ঝঙ্কার উর্বর লালছে সংসারে
চুষে নিচ্ছে অপমান প্রহার
৮)
পিপাসা মিটিয়ে মৃত হাসির ফাঁকে
তোমার বিলাসবহুল নিঃশ্বাস
নিষ্কাশিত সমস্ত প্রলোভন
অতিমানবিক কপালে রাষ্টের ঈর্ষা
৯ )
আলোকবিন্দু পুরান কথায় সঞ্চিত শিল্প
বালি মেখে নীল সীমানায়
আনন্দের প্রতীক মুছে অনুরণন
খাতার প্রতিটি বর্ণমালায় ।
১০ )
অচেনা প্ল্যাটফর্মে বিশেষন নেই
বিশেষ্য আলাদা পেটফোলা কুটিরে
থুতনি বরাবর পরাবাস্তব
স্তনে লিপিবদ্ধ সিগেরেটের গল্প ।
১১ )
তৃতীয় নয়নের নিজস্ব কায়দায়
হাসি মুখে চোরাবালিতে ফু সংকেত ।
ঝকঝকে চামড়ায় শিরোনামহীন মামলা
জোনাকীর ঠোটে দু লাইনের চুমু ।
১২ )
যত্রতত্র গাঢ় সার্বভৌমে
মোমের শরীর জুড়ে ঘাম
কানে গুজে দিয়ে শিশিরের প্রলাপ
ভেংচি কাটে অনুভুতির নাভিতে
১৩ )
এক টুকরো ভালবাসা বিক্রি করবো বলে
ছায়া ফেলেছে উলটো পথের বৃক্ষ
টলটল সূর্যের হৃদযন্ত্র
চিটচিটে প্রার্থক্য পালটে দিচ্ছে সুর ।
১৪ )
কুড়িয়ে পাওয়া অভিশাপ
গিজগিজ করে মুখুশের আড়ালে
ঢেউ হীন মেঘে লাথি মেরে বিক্রি করি
আগামী প্রজন্মের জন্মতিথি ।
১৫)
ফেসবুকে সম্পর্কের মানদণ্ডে ব্যাপক হরমোন
লাফিয়ে বাড়ছে শহরের অবশ রূপ
নিঃ শব্দ প্রাগৈতিহাসিক উচ্চতায়
জিহ্বায় সংক্রামক স্ট্যাটাস ।
১৬ )
প্রকৃত পক্ষে আলপথ বরাবর আশ্রয়
বেপরোয়া দিবাস্বপ্নের আত্মা
দৃশ্য অসম্ভবের ভেতর এলোমেলো
পাঁজরে কোকাকোলার গন্ধ
১৭ )
বসন্তের দেয়ালে চাপা একাকীত্ব
ভেজা চুলে দৃষ্টির যানজট
কক্ষপথে মাদকথা নেই
মহাভারতের পংটিগুলো ঝুলে আছে
১৮ )
নিজের মতো না লিখে আঠালো পাতায়
জীবিত রাতগুলো এঁটে দেই
ঈশান কোনে পুড়ছে মনের প্রতিটি বগী
অক্ষর রোগী শুয়ে আছে কাব্যের আড়ালে
১৯)
প্রস্তাবিত বন্ধ্যাযোনিতে ইদানিং পুস্পদান
সুনিপুন ইশারায় প্রান জাগে শিল্প নগরীতে
আবেগহারা মৃত্যু তোমার জন্য নয়
আচমকা ফিরে তাকাও বিস্ময়
২০ )
বহুকাল নিশ্চিত ছিলাম বিবর্ণ ডিঙ্গায়
পোঁছে যাব পূর্ব পুরুষের ঘরে ।
দুর্ভাগ্য । কুসুম গন্ধে ভেসে যাচ্ছি কিংফিশারে
বাস্পীয় ইজ্জত লুটিয়ে যাচ্ছে
ek kothay osadharon