সুবীর সরকার
বেড়ালের মতো পেরিয়ে এলে জোড়া বাঁশের
সাঁকো
কাকের বাসায় ডিম রেখে আসা কোকিল
সারারাত দাঁড়িয়ে ছিলাম খেজুর গাছের
নীচে
ধোঁয়াশায় মুখ ঢাকছেন চিরবিষন্ন
মানুষেরা,
গতি না কমিয়েই প্রকান্ড লাফ
তাঁবুতে শীত ফিরছে
হাওয়ার ধাক্কায় খুলে যাওয়া
জানালা
রোদে পোড়া লালমুখ
ঝলসে ওঠা আলোয় ডগ- শো
নিখাদ ইয়ারকি তবু প্রেষ্টিজ ডুবে
যাচ্ছে
কাঠের টুল,দরজায় বেল নেই
মেঘ সরতেই চাঁদের ফোটা
শীত শীত ভাব,মাথা দুলিয়ে গান
শুনছি
ঠোঁট বাঁকিয়ে কথা বললে গলাব্যাথা
হয় না
ভিড়ের রাস্তায় ফেলে আসা একাকীত্ব
চাপাস্বরে কথা বলছে কাঁঠাল পাতার
জঙ্গল
মিছিমিছি উল্কি আঁকা করতল
এনে দেবে চুলের উঁকুন !
গুলতানির ভিতর কহিনির মোচড়
হন্টেড হাউজ।গল্পের পোকা ঘোরে
ঘরময়
আমাদের অ্যাটাক করছে বাদুড়
আবার মেঘের আড়ালে চাঁদ
গ্যাপ দিয়ে দিয়ে টিকমার্ক
গতি কমাও বাঁকের মুখে
ভরা বর্ষায় ডিঙিনৌকো
০২।
রাবার ব্যান্ড লাগানো মুখোশ
হাতে হাতে ঘুরছে রেকর্ডেড
ভয়েস
শব্দ করে উড়িয়ে দেওয়া হয়
পাখিদের
পাথরে ধাক্কা খেয়ে নবীকৃত
ফরচুন টেলিং
০৩।
তীব্র ক্রোধ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছি
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে করতালি
চিরাগদান,পানের বাটা
ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দেওয়া
পথবাতি
কবেকার চুলের ফিতে
ভগ্নাংশ হয়ে বিছিয়ে পড়ছে
মেঘ
উদ্ভট আগুনের পাশে জিরাফ
ছিটকে আসা গানগুলিতে টানটান
ক্রোধ
kub valo laglo dada